,

দেশে অবৈধ নদী দখলকারীর সংখ্যা অর্ধলাখের বেশি- নৌপ্রতিমন্ত্রী

সময় ডেস্ক : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদেও তালিকা প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে সারাদেশে অবৈধ দখলদারের সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে অর্ধলাখের বেশি অবৈধ দখলদারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সারাদেশের নদ-নদীর নব্যতা বৃদ্ধি ও নদী. খাল দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন হতে সকল জেলা প্রশাসকের করা অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েক দফায় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীসহ বিভিন্ন নদীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলো অনেকটা মুক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকদের কাছে কমিশন থেকে পাঠানো হয়েছে। বাকি দখলদার মুক্ত করতে অভিযান চলমান রয়েছে। একই দলের সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের নদীতে ফিটনেসবিহীন কোন নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হয় না। নৌপথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ফিটনেসবিহীন নৌ-যানের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর মৌখিক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, শিপিং এজন্টেদের লাইসেন্স দেওয়ার পর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কোনো তদারকি না থাকায় বিদেশি জাহাজে চাকুরির নামে প্রতারণা চলছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।


     এই বিভাগের আরো খবর